1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

কাতার প্রবাসী শ্রমিকেরা পাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ

  • Update Time : বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২০
  • ২১৬ Time View

 ডেস্ক রিপোর্টঃ করোনাভাইরাসের দুর্যোগে কাতারে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ১৪ মার্চ থেকে বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। এই কার্যক্রমের জন্য দূতাবাসকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌কাতারের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব বাংলাদেশি আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন, আমরা তাঁদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করে একটি তালিকা করেছিলাম। এখন তাঁদের ফোন করে নির্ধারিত সময়ে এসে এই সাহায্য নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। যারা আসতে অপারগ, তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি।
কাতার সরকারের নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং জনসমাগম যাতে না হয়, সেভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিতরণ করা এই খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতি শ্রমিকের জন্য পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, এক কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি আলু ও একটি সাবান।
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত আমরা সাহায্যপ্রার্থী ৭০০ বাংলাদেশি কর্মীর তালিকা করেছি। এঁদের মধ্যে প্রায় ৪৫০ জনকে আপাতত এসব খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কাতারের সেবা সংস্থা কাতার চ্যারিটি কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য খাবার বিতরণের অনুরোধ জানানো হয়েছে


দূতাবাসের শ্রম শাখা থেকে বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, কাতারে ২০ হাজার মানুষকে জনপ্রতি ২০০ রিয়াল করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হলে নয় কোটি টাকার বেশি অর্থের প্রয়োজন। তবে এ বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশ সরকারের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান শ্রম কাউন্সেলর।
কাতার থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে কোনো চাপ নেই বলেও তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সব সময় যে রকম অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলে, সে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শ্রম কাউন্সেলর আরও জানান, সপ্তাহখানেক আগে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কাতারে অবৈধ হয়ে পড়া প্রায় ৯২ জন বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে পাঠাতে ডিপোর্টেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। কাতারে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশির বিরুদ্ধে নিজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সহায়তামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন দূতাবাসের এই শ্রম কাউন্সেলর। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করছেন কাতারে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিত্তবানরা। এ পর্যন্ত এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিল্পাঞ্চল সানাইয়া ২৯ ও ৫২ নম্বর এলাকা এবং দোহায় শারে আসমাখ ও নাজমায় অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিকের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির বিত্তবান প্রবাসীদের প্রতি এই দুর্যোগকালে মানবিক সহায়তায় হাত বাড়িয়ে অসহায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম কাউন্সেলর।
১৩ মার্চ প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, কাতারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ২৩১ জন। এঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাতজনের, সুস্থ হয়েছেন ৩৩৪ জন। এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষের স্বাস্থ্য নমুনা পরীক্ষা করেছে কাতার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..